আমার স্বপ্ন ডানা মেলে পৃথিবীটা দেখার। ছোট থেকে বহুবার বয়স্করা আমাদের জিজ্ঞেস করতেন “তোমার স্বপ্ন কী?” তোতা-পাখির মতো সবাই বলত কেউ ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার কিংবা অন্য কিছু। কিন্তু আমার কাছে ব্যাপারটা বরাবরই অন্যা মনে হত। “স্বপ্ন” কি শুধুই প্রোফেশনকে নির্দেশ করে?
‘লাল সবুজ সোসাইটি’এর একটি অনুষ্ঠানে একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় – ‘তোমার স্বপ্ন কী?’ আমার উত্তরটা অনেকটা ছিল এমন, আমি অনেক বড় হতে চাই, অনেক কিছু অর্জন করতে চাই, আমার কাছে অ্যাচিভমেন্ট মানে অভিজ্ঞতা। ক্রেস্ট কিংবা সার্টিফিকেট হলো বাহকমাত্র, এগুলোকে সরাসরি অর্জন বলা যায় না,অনেকটা ক্যামেরায় ছবি তোলার মত – সযত্নে রাখা ছবি দেখলে আমাদের অনেক আনন্দঘন স্মৃতি মনে পড়ে যায়। নিজেকে নতুনভাবে গড়তে চাই, যেন গতকাল যেমন ছিলাম তার থেকেও আরেকটু উত্তম হতে পারি। যদি আমি নিজের কাছেই নিজে বেস্ট হতে না পারি তাহলে অন্যের জন্য ভালো কিছু করা সেখানে আকাশচুম্বী ধারনা।
আমার বিশ্বাস ছোট্ট একটা ভালো কাজ করতে হলেও কিংবা নিজের স্বপ্নকে জয় করতে হলে অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। মায়ের কথাগুলো বরাবরই আমার কাছে শক্তি,সাহস এবং অনুপ্রেরণা।যার মধ্যে একটি হচ্ছে – “চলার পথে যেখানে কিছু শেখার সুযোগ থাকবে সেটা শেখার চেষ্টা করা উচিত, হয়ত এই মুহূর্তে না কিন্তু জীবনে কখনো না কখনো হয়ত ঐ জ্ঞানটা কাজে আসবে।”
মানুষের শেখার কোনো শেষ নেই। পুরোটা সময় জুড়েই মানুষ কিছু না কিছু শেখে বলেই সে তার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়।খাঁচায় বন্দী পাখিও স্বপ্ন দেখে মুক্ত হবার,স্বপ্ন ছাড়া মানবকে তূলনা করা যায় ঠিক যে কিনা মুক্ত থেকেও ডানাভাঙ্গা। “স্বপ্ন” এমন কিছু হওয়া দরকার যেখানে আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তা থাকবে।ঘুমন্ত ব্যক্তির স্বপ্নে কোনো আকাঙ্ক্ষা থাকে না , তা স্বল্পক্ষণেই ফুড়িয়ে যায়।তবে সত্যিকারের স্বপ্নকে হারাতে দিলে নিজের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে।