ইলিশ ধরার মৌসুমেও সাধ্যের মধ্যে ইলিশ মিলছে না চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। চড়া দামের কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের পাতে জুটছে না এই মাছ। বাজারে ইলিশের দাম নির্ধারণ না হওয়ায় একেক দিন একেক রকম দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে মতলব উত্তরের এনায়েতনগর, সুজাতপুর ও আমিরবাদ এবং মতলব দক্ষিণের উপজেলা সদর, বরদিয়া আড়ং ও মুন্সিরহাট বাজারে দেখা যায়, মোটামুটি হারে ইলিশের আমদানি হয়েছে। অধিকাংশই মাঝারি ও ছোট আকারের ইলিশ। বড় আকারের ইলিশের পরিমাণ খুম কম। দাম অনেক বেশি থাকায় অধিকাংশ ক্রেতাই দরদাম করে ফিরে যাচ্ছেন। তবে কেউ কেউ চড়া দামেই দু–একটি ইলিশ কিনছেন। বেশি দামের কারণে বেচাকেনা খুব কম। ইলিশের বাজারে মন্দা ভাব। নেই হইচই ও হাঁকডাক।
কথা হয় মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর বাজারের ইলিশ বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাস ও মতলব উত্তরের এনায়েতনগর বাজারের ইলিশ বিক্রেতা প্রাণকৃষ্ণ দাসের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সাত থেকে আট দিন ধরে বাজারে মোটামুটি হারে ইলিশ আসছে। তবে দাম বেশি। এখন ১ কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ আকারের প্রতি কেজি ইলিশ চাঁদপুর ও ভোলা থেকে তাঁরা ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় কিনে এনে এখানে বিক্রি করছেন।
কয়েকজন ইলিশ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। মাঝারি ও ছোট আকারের প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটি অন্যান্য বছরের এ সময়ের চেয়ে এক থেকে দেড় গুণ বেশি। দাম বেশি থাকায় বেচাবিক্রি খুব কম। প্রতিদিন একেকটি বাজারে ইলিশ আসে গড়ে দুই থেকে আড়াই মণ। বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২০ থেকে ২৫ কেজি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারিত না থাকায় একেক দিন একেক সময় একেক দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের নবকলস এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধইরা বাজারে যাইতাছি দুইয়েকটা ইলিশ কিননের লইগা। দাম বেশি থাওনে কিনতে পারতাছি না। পরিবারের সদস্যরা বলতাছে বাজার থেকে ইলিশ কিনতে, কিন্তু বেশি দামে ইলিশ কিনলে অন্য সওদা করুম ক্যামনে। এলিগা কিনি না। মনে অয় এইবার আমাগো পাতে ইলিশ জুটব না। ইলিশ এহন বড় লোকগো খাবার।