ENGLISH
- Advertisement -Newspaper WordPress Theme
তরুণ উদ্যোক্তাজলবায়ু ঝুঁকিতে অস্তিত্বের হুমকিতে বাংলাদেশ

জলবায়ু ঝুঁকিতে অস্তিত্বের হুমকিতে বাংলাদেশ

ঢাকা থেকে ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল:

উন্নত বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের সকল দায় নিতে হবে এবং অবিলম্বে সকলকে দেশকে জলবায়ু চুক্তি মানার আহবান জানিয়ে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে সংহতি জানিয়ে ঢাকায় আজ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে পালিত হলো সংহতি সমাবেশ ও র‌্যালী। পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন(পবা) ও বারসিকের যৌথ উদ্যোগে লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থের সভাপতিত্বে ও পবা’র সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল এর সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ডিয়াকোনিয়ার প্রতিনিধি খোদেজা সুলতানা লোপা, বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস, মো: জাহাঙ্গীর আলম, সুবন্ধন এর মো: হাবিবুর রহমান, এসআরএস এর অ্যাড হাসিনা খানম, সেভ দ্য রিভারের শাকিল রহমান, বস্তীবাসী তরুণী তানিয়া আক্তার সীমা প্রমূখ।

সংহতি সমাবেশে বস্তিবাসী কিশোরী তানিয়া আক্তার সীমা বলে, আমরা বস্তিতে থাকি, অত কিছু বুঝিনা। কিন্তু আমরা জানি বড় লোক আর বড় দেশগুলা আমাদের দেশের পরিবেশ নষ্ট করে। আমরা চাই এই দেশগুলা শাস্তি হোক। আমাদের দেশটা যেনো ধনী দেশগুলার জন্য ধ্বংস না হয়।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বড় ক্ষতির শিকার হচ্ছি আমরা বাংলাদেশের মানুষ। জলবায়ু ঝুঁকিতে সবচেয়ে অস্তিত্বের হুমকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনের সাথে আমাদের আরো একাত্ম হওয়া। তাই আমাদের কে আরো উচ্চকিত হয়ে এই আন্দোলনে শরিক হতে হবে। উন্নত দেশগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থে এক থাকছে আর তাই আমাদেরকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে একটি সর্বপ্রাণবাদী আন্দোলনে, জলবায়ু আন্দোলনে।

নেতৃবন্দ বলেন, হঠাৎ সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনের ফুটপাথে প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়ে একটি মেয়েটি । একাধিক অভিযোগ তার। সঙ্গে দাবিও। তার অভিযোগ, বড়রা কেউ চায়না ছোটরা ভালো থাকুক। সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনে পোস্টার হাতে দাঁড়ানো এক কিশোরীর ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর কোণায় কোণায়। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী পরিবেশ বাঁচাতে সুইডেন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করতে না পারায় রাষ্ট্রনেতাদেরই দায়ী করেছিল গ্রেটা থুনবার্গ নামে ওই কিশোরী। তারপর থেকে প্রতি শুক্রবার সকাল হলেই গ্রেটা চলে যেত সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে। বসে থাকত। দু’টো-তিনিটে শুক্রবার যাওয়ার পর গ্রেটা আর একা রইল না। সমবয়সী আরও কিছু বন্ধু জুটে গেল পার্লামেন্ট স্ট্রিটে। সপ্তাহ এগলো। বাড়তে থাকল সংখ্যা। তৈরি হল নতুন সংগঠন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’। তার ডাকেই পরিবেশ বাঁচাতে জোট বেঁধেছে পৃথিবী। একেবারে রাস্তায় নেমে। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে গ্রেটা। মাত্র ষোলো বছর বয়সে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে গ্রেটা ও তার ৬০ জন বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় রাস্তায় নামার ডাক দিল।

তারিখ ঠিক হল ১৫ মার্চ, শুক্রবার। স্কুলে না গিয়ে পৃথিবী বাঁচাতে রাজপথে নামার ডাক। স্লোাগান একটাই- ‘আমাদের বাঁচতে দাও, পৃথিবীকে বাঁচতে দাও। আমাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করো।’ এবার পৃথিবীর ৪০০ শহরে পালিত হবে ‘জলবায়ু ধর্মঘট’ বা ‘ক্লাইমেট স্ট্রাইক এবং আন্দোলনকারীর সংখ্যাটা কোটি ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আমরা খুঁজছি তোমাকেই

তুমি কি ভিডিও বানাও? লেখালেখি ভালোবাসো? ছবি তুলতে ভালো লাগে? তোমার চোখে দেখা বাস্তবতাই বদলে দিতে পারে সমাজের চিত্র। এখনই আবেদন করো লাল সবুজ প্রকাশ-এর সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য

ক্লিক করো এখানে

বিশেষ প্রতিবেদন ⇢

- Advertisement -Newspaper WordPress Theme

সর্বশেষ প্রতিবেদন

More article

- Advertisement -Newspaper WordPress Theme