শিক্ষা দানের মহান ব্রত যার কর্ম তাদের শিক্ষক বলে। যাদের গুরু,শিক্ষাদাতা,ওস্তাদ, শাস্তা,উপাধ্যায়, ভট্ট, আচার্য ইত্যাদি নানা নামে ডাকা হয়। তবে বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের সাধারণত স্যার অথবা ম্যাম বা মিস বলেই ডাকা হয়। আপাতদৃশ্যে শিক্ষকদের স্কুলের পড়ার বই পড়াতে দেখালেও প্রথাগত পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষাকরা আমাদের নানা অতি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিষ্টাচারে দিক্ষিত করেন
শিক্ষার আলো ছড়ানো এসব অগ্রদূতরা নানা ক্ষেত্রে নানা শিক্ষা দেওয়ার সময় প্রয়োজনে রেগে গেলেও মূল্যবোধ এর পেছনেও থাকে, শিক্ষার্থীদের মংগল করারই উদ্যেশ্য। আবার এমন শিক্ষকও রয়েছে যারা কিনা তাদের অসাধারণ শিক্ষার ধরণ,আচার-আচরণ, নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে প্রিয় শিক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
আমি একজন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষা জীবণে অনেক অনেক শিক্ষকদের সাথেই আমার দেখা হয়েছে।এবং এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে আমার শিক্ষা জীবণে এখন পর্যন্ত দেখা প্রিয় শিক্ষক কে? তবে আমি উত্তরটি ঠিক একজনকে কেন্দ্র করে বলতে পারব না। একজন শিক্ষকের শিক্ষক হতে হলে দরকার হয় অনেক অনেক যোগ্যতা অর্জন করা। তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করা। তার পাশাপাশি দরকার ধর্মীয়, সামাজিক ও চারিত্রিক নানা বৈশিষ্ট্য। এত সব গুণাবলী অর্জন করতে করতে এক পর্যায়ে সেই শিক্ষক একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিতে পরিণত হয়। এবং যোগ্যতা প্রতিটি শিক্ষকের ভিতরই থাকে। তাহলে এখন যদি আমি আমার প্রেক্ষাপট সকলকে বলি সে ক্ষেত্রে আমার জীবণে একেক জন শিক্ষকের একেক রকম প্রাধান্য রয়েছে ও অবদান রয়েছে।যেমন : বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক আমার গণিতের প্রতি দূর্বলতার কথা যেনে আমাকে সার্বিকভাবে গণিতে ভালো করার জন্যে সাহায্য করেন, বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষিকা সবসময় আমাকে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে উৎসাহিত করেন, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষিকা শিক্ষায় নানা পাঠ্যক্রম বহীর্ভূত নানা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের কৌশল,ইংরেজি শিক্ষক সাহায্য করেন ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধিতে, ধর্ম শিক্ষক শিক্ষা দেন ধর্মীয় শিষ্টাচারের, প্রধাণ শিক্ষক সর্বদা অনুপ্রেরণা যোগায় ভালো কিছু করার জন্যে তাছাড়া ও কোচিং এর শিক্ষকরা নিজের ভাই – বোনদের মতো করে নিজেদের পড়াশুনার ক্ষতি করে আমাদের শিক্ষা দেন।
এত সব যোগ্যতা সমৃদ্ধ মানুষের মধ্যে থেকে পছন্দের শিক্ষক নির্ণয় করার মতো যোগ্যতা এখনও আমার হয় নি। না আছে আমার তাদের মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা না আছে তাদের অনুরুপ চারুত্রিক বৈশিষ্ট্য তাই তাদের মধ্যে থেকে প্রিয় শিক্ষক বাচাই করা আমার দৃষ্টিতে অন্যায়। শিক্ষক আমাদের জীবণের অবিচ্ছদ্য অংশ, তারা হলো এমন সুপার হিরো যাদের কিনা সমাজের মানুষ প্রাপ্য সম্মান দেয় না,কিন্তু এটা কল্পণা করলেই উপলব্ধি করতে পারব তাদের মর্ম কতটা আমাদের জীবণে।