আলী আজগর ইমন
আজকের শিশু আগামীর সম্পদ। কিন্তু শিশুরা নিরাপদ না আমাদের দেশে, শিশু শ্রম/নির্যাতন/পাচার এবং বাল্যবিবাহ যেন নিয়মিত ঘটনা। এগুলো দেখে যারা কিছু করার তাগিদ অনুভব করে কিন্তু সঠিক উপায় জানি না বলে, নিজের গোপনীয়তা রক্ষা পাবে কি না ভেবে কিছু করতে পারেনা তাদের জন্য ১০৯৮ “Child Helpline” হতে পারে ভরসার জায়গা।
ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সমাজসেবা অধিদফতর এর অধীনে এটি ২৪×৭ সেবা দিচ্ছে। যার মাধ্যমে নির্যাতন বা শোষণের শিকার শিশু অথবা অন্য যেকোন ব্যক্তি বিনামূল্যে ফোন করে সহযোগিতা চাইতে পারে। এটি পরিচালনার ক্ষেত্রে শিশু আইন-২০১৩ অনুসরণ করা হয়, যা শিশু অধিকার এবং সামাজিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে।
অক্টোবর, ২০১৬ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এর মাধ্যমে বাল্যবিবাহ, শিশু শ্রম/নির্যাতন/পাচার সহ শিশুর অধিকার লংঘন হয় এমন তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করছে। এ পরিসেবা সকল প্রকার প্রভাব এবং চাপমুক্ত থেকে, সেবা চাওয়া ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা করে সাহায্যের হাত প্রসারিত করে।
এর মাধ্যমে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধা, শোষণ, নির্যাতন ইত্যাদি প্রতিরোধ করে এবং আইনি সহযোগিতা নিশ্চিত করে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে শিশুকে উদ্ধার করা, শিশুর প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং, জরুরী সেবা, নিরাপদ আশ্রয়, পুনর্বাসন, ও নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া এগুলো প্রাধান্য পায়।
সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে- সাহায্য চাওয়ার পর সমাজকর্মী তার পরিচয় দিবে, নিয়ম মেনে তিনি নাম, পরিচয় এবং কি ধরনের সহায়তা চান তা সাহায্যপ্রার্থী কে জিজ্ঞেস করবেন। শিশু বিষয়ক সহায়তা চাওয়া হলে চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা প্রদান করা হবে, সাহায্য চাওয়া ব্যক্তির কথা শেষ পর্যন্ত সমাজকর্মী শুনবে। কেউ যদি নাম, পরিচয় এবং বাসস্থান সম্পর্কে বলতে না চায় বা অনিহা প্রকাশ করে তাহলে সমাজকর্মীর গোপনীয়তা বজায় রেখে সাহায্য করবেন। সাহায্যপ্রার্থী থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। সমাজকর্মী শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে ফলোআপ কল করে শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
শিশুর প্রতি ঘটে চলা অন্যায় মোকাবিলায় যে কেউ এগিয়ে আসতে পারেন, একটি ফোনালাপ মুক্ত করতে পারে নির্যাতনের শিকার শিশুকে।