শৈশব বা ছোটবেলা সবারই জীবণের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবার জীবণেই এই শৈশব আসেই। এই ছোটবেলাতেই মানুষ তার জীবণের সব থেকে সুন্দর মুহূর্তগুলো অতিক্রম করে।সব থেকে আনন্দঘন মুহুর্ত পার করে।সেই ঘটনাগুলো এমন শক্তভাবে মনের ভিতর আটকে যায় যে,অনেক কিছু মনে না থাকলেও একটা মানুষের ছোটবেলার কথা তার ঠিকই মনে থাকে।অসাধারণ সকল অনুভূতির জন্ম নেই মনের ভিতরে যখন মনে পরে যার ছোটবেলার কথা।
সবকিছুরই যেমন কালো দিক আছে, তাই বলে রাখা ভালো পৃথিবীতে হাজার হাজার শিশু রয়েছে, যাদের ছোটবেলা এতই ভয়ংকর ভাবে কাটছে যে,ভবিষ্যৎ এ সেই শিশু তার ছোটবেলার কথা মনে করারও ইচ্ছা পোষণ করবে না।সবার বাস্তবতা সমান নয়।
আমার ছোটবেলা খুব আদর যত্নের সাথেই অতিক্রান্ত হয়েছে।পিতা- মাতা সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান। সব থেকে বেশি আদরের।প্রচুর দূরন্ত ছিলাম, মায়ের মুখে শুনেছি।সব কথার কড়া উত্তর দিতে দিধা বোধ করতাম না। আর ছিল একা একা কথা বলার অধিক প্রবণতা , তবে বলতেই হয় সেই আজব প্রবণতা আজও আমার পিছু ছাড়ে নি।অন্য সকল কাজে ঠিকঠাক থাকলেও একটা জিনিস থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি,সেটা হল খেলা ধুলা করার পরিবেশ।যুগের সমস্যার ফলে ,বাহিরে খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।সামাজিকতার কোন অভাব কখনই ছিল না আমার মধ্যে। সবার সাথে মিশতে ভালো লাগতো।কথা বলতে খুব ভালোবাসতাম, আর পছন্দ করতাম নতুন কিছু শিখতে।মায়ের কাছে শুনেছি বেশ জেদী ছিলাম আমি,হাতেখড়ি দেওয়ার পরে থেকেই শ্রেণীতে প্রথম, দ্বিতীয়,অথবে তৃতীয় আমাকে হতেই হবে।এই ছিল আমার একান্ত পণ।প্রতিবেশী এক আন্টির সাথে ঘুরে বেড়াতাম দূর দূরান্তে।পরিচিত মুখ ছিলাম সবার কাছে।বাড়িতে একমাত্র আমিই এমন ছিলাম।মা বলে আমি নাকি একদম আমার বাবার বৈশিষ্ঠ পেয়েছি।
আমার বিদ্যালয়ে ভর্তি পথচলা অনেক আবোল তাবোল।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়েছি।সেখানেও পরিচিত হয়েছি অনেক অনেক মানুষের সাথে।শিখেছি অনেক কিছু।
আমি এখন যে নিজেকে খুব বড় মনে করছি।বা বলছি খুব বড় হয়ে গেছি।বিষয়টা ঠিক এমন না।এটা বলতে হবে,৯১০ বছর আগের আমি ও এখনের আমির মধ্যে কোন মিল নেই।
দিন আসে যায় পরিবর্তিত হয় সব কিছু।তার মাধ্যেই আমরা বেড়ে উঠি বুঝতে শিখি,এভাবে জীবণ চলতে চলতে জীনণের শেষ দিনগুলো চলে আসে, হয়ত এক কারণে বিখ্যাত মনিষিরা জীবণকে প্রবাহমান নদী বলে আখ্যায়ীত করেন।