আতিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর বুকে জেগে উঠা চরজুড়ে কৃষকের বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষক-কৃষাণীর নিবিড় পরিচর্যায় বেড়ে উঠা সবুজ ফসলের হাতছানি।তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে শতাধিক কৃষকের ১শত ৭৫ হেক্টর জমি থেকে ৩শত ৩২ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদন সম্ভবনা রয়েছে।
শীতকালীন ফসল আলু,পিয়াজ,রসুন ও কুমড়োর আগাম চাষাবাদের ফসল ঘরে তোলে সেই জমি প্রস্তুত করে বাদাম রোপণ করা হয়েছে তিস্তার চরে। রোপণকৃত বাদাম গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষক।
উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশম গ্রামের কৃষক তহির উদ্দিন বলেন, “আমি ১একর জমিতে বাদাম রোপণ করছি। এতে আমার খরচ হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা, ফলন ভালো হলে প্রতি একরে চল্লিশ মন বাদাম উৎপাদন হবে।বাজারে বাদামের দর ভালো হলে লাভ হবে।”
একই গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমি ৪ একর জমিতে বাদাম রোপণ করছি। রোপণ বীজ দশ থেকে আট হাজার টাকায় ক্রয় করছি। রোপণসহ কীটনাশক স্প্রে শ্রমিক সবমিলিয়ে প্রায় প্রতি একরে খরচ হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। বাদামের বাম্পার ফলন হলে প্রতি একরে চল্লিশ মন বাদাম উৎপাদন হবে। প্রতি মন বাদামের মুল্য যদি পয়ত্রিশশত থেকে ৪ টাকা বিক্রি হয় তাহলে লাভ হবে।
যদি ২ হাজার থেকে পঁচিশশত টাকা প্রতিমন দরে বিক্রি হলে সর্বনাশ। গত বছরের বাদাম এখনও অনেকেই বিক্রি করতে পারে নাই। সেই বাদামের মন এখন পঁচিশশত টাকা, বাকিটা আল্লাহ ভালো জানেন। তবে বর্তমানে বাদামে পোকার আক্রমণ প্রচুর হচ্ছে,কোন ঔষধেই কাজ হচ্ছে না,অথচ! স্প্রের পড়ে পোকা আরও মোটাতাজা হচ্ছে।”
তিস্তার চরের চাষী হাসেন আলী জানান, চরা দামে বীজ সংগ্রহ করে আড়াই একর জমিতে বাদাম রোপণ করছি ফলন ও দর ভালো হলে লাভবান হব।”
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার বলেন, “ তিস্তার চরাঞ্চলে ১শত পচাত্তর হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ হচ্ছে,শীতকালীন ফসল ঘরে তোলার পরে সেই জমিতে বাদাম রোপণ করা এতে কৃষকের খরচও কম হয়, ফলন ভালো হলে এবং আগাম বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি না হলে তিনশত বত্রিশ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদন হবে চরাঞ্চলে।”