
এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবা গ্রহণ করে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন ১৩৮ জন। এর মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৬৬ জন নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে পাওয়া প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ ও বাজারসংযোগের সহায়তায় এসব উদ্যোক্তা সফলভাবে নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার(২৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবন মিলনায়তনে ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবাপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল হাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও কে–ক্র্যাফটের ম্যানেজিং পার্টনার খালিদ মাহমুদ খান এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্যোক্তারা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, চীন, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলাতেও অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্যোক্তা গণি ক্রিয়েশনের স্বত্বাধিকারী মো. মাহফুজুল গণি ২০২২ সালের জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯৯ শতাংশই কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতভুক্ত। শিল্প খাতে মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ সৃষ্টি হচ্ছে এই খাত থেকে। বর্তমানে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০ শতাংশ। সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এবং এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এ খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।