

‘লাল সবুজ প্রকাশ’-এ একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ঝালকাঠির অসহায় বৃদ্ধা পুতুল রানী কর্মকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। গত ১৯ আগস্ট সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এককালীন পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পান।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে পুতুল রানী অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। গত ৭ আগস্ট লাল সবুজ প্রকাশে তাঁর জীবনসংগ্রামের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়।
লাল সবুজ প্রকাশের ঝালকাঠি প্রতিনিধি বিথী শর্মা বণিক জানান প্রতিবেদনটি নজড়ে আসার পর জেলা প্রশাসক পুতুল রানীকে নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিথী শর্মা বণিক পুতুল রানীকে নিয়ে ডিসি অফিসে গেলে তিনি একটি লিখিত আবেদন করেন। পরদিন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং পাঁচ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন।
সাহায্য পেয়ে পুতুল রানী জানান যে, ডিসি স্যারের এই আর্থিক সহায়তায় অন্তত দুই-তিন মাস তাঁকে আর বাজারের চিন্তা করতে হবে না। তবে সরকারি কোনো ভাতা বা স্থায়ী সহায়তার জন্য যে আবেদন ও অফিসে ছোটাছুটি করতে হয়, ‘লাল সবুজ প্রকাশ’-এর বিথী শর্মা পাশে না থাকলে তাঁর পক্ষে সেটা একা করা সম্ভব ছিল না।
তবে পুতুল রানী ঝালকাঠির ভোটার না হওয়ায় স্থানীয় সরকারি কোনো ভাতা বা স্থায়ী সহায়তার আওতায় আসা তাঁর পক্ষে এখনো সম্ভব হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবেদনটি ছড়িয়ে পড়লেও অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এখনো তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। তাই, আপাতত কিছুটা স্বস্তি মিললেও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি পুতুল রানীর জীবনে।