

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত হাওড়ের প্রকৃতি, রহস্য আর মানুষের টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে শর্টফিল্ম ‘নাওবিবি’। কিশোরগঞ্জের নিকলী ও করিমগঞ্জের হাওড় অঞ্চলের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে সম্প্রতি শেষ হয়েছে এর শুটিং।
চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহাফুজ মুন্না, যিনি সম্প্রতি বড় পর্দায় ‘উড়াল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। রহস্যময় তরুণী মায়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইসরাত জাহান পমি। দেশ-বিদেশে গায়িকা হিসেবে পরিচিত পমির জন্য এটি প্রথম অভিনয় অভিজ্ঞতা।
মাহাফুজ মুন্না গণমাধ্যমকে বলেন, “পরিচালক কায়েস ভাই তাঁর প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন আমাকে। চিত্রনাট্য পড়ে অসম্ভব ভালো লেগে যায়। এতো সুন্দর বিশ্লেষণ করা চিত্রনাট্য আমি খুব কম দেখেছি। প্রতিটা কাজে চরিত্র ও গল্প আমার কাছে মুখ্য।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু এটা স্বাধীন চলচ্চিত্র, তাই এখানে কষ্ট করে টিম হয়ে কাজটা তুলে আনতে হবে, এটা আগেই বুঝতে পারি। আমি এখন পর্যন্ত কয়েকটি স্বাধীন চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। টিমওয়ার্ক একটা ভালো কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই টিমওয়ার্ক আমি ‘নাওবিবি’-তে পেয়েছি। টিমের সবার প্রতি ভালোবাসা।”
এদিকে, ইসরাত জাহান পমি বলেন, ‘মায়া চরিত্রে কাজ করা ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। এখানে শুধু অভিনয় নয়, হাওরের প্রতিনিধিত্বও করতে হয়েছে। আমার মাধ্যমে দর্শক মায়াকেই নয়, দেখবে হাওরকে।’
গল্পে দেখা যাবে, এক ট্র্যাভেলার হাওড়ে এসে অদ্ভুত এক রহস্যের মুখোমুখি হয়। রাতে পানিতে জ্বলে ওঠা আগুনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মায়াকে ধাওয়া করতে গিয়ে ট্র্যাভেলার ঢুকে পড়ে হাওড়ের গভীরে।
‘নাওবিবি’ শর্টফিল্মে গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ। পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মশিউর রহমান কায়েস। প্রযোজনা করেছেন ম্যাক রিপন। চিত্রগ্রহণ করেছেন আনন্দ সরকার। আরও অভিনয় করেছেন শাহ শান্ত এবং শিশু চরিত্রে রয়েছেন শাহ ওবায়েদ নেহান।
নির্মাতাদের মতে, চলচ্চিত্রটিতে হাওড়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের টানাপোড়েনের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতাও ফুটে উঠবে।