/
/
কুড়িগ্রামে ১০ ফুটের অজগর উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ১০ ফুটের অজগর উদ্ধার
Byআতিকুর রহমান
Published৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
২:২৭ অপরাহ্ণ
WhatsApp Image 2025-08-30 at 1.53.29 PM
আতিকুর রহমান
আতিকুর রহমান পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত এবং ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রেই ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য তার। সে বিশেষভাবে চরের মানুষের জীবনযাপন, বাল্যবিয়ে, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিকে কেন্দ্র করে লেখালেখি করে। পাশাপাশি চরাঞ্চল ও পাহাড়ে ভ্রমণ করে সেখানকার গল্প ও বাস্তবতা তুলে ধরতে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

উলানিয়া জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আগমনী বাজারে বিরল এক ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা একটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল অজগর সাপ উদ্ধার করে বন বিভাগের হাতে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
‎স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ৭টার দিকে গ্রামের এক শিশু ক্ষেতে শাক তুলতে যাওয়ার সময় ভেলং নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে গাছের গোড়ায় অজগরটিকে শুয়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। শিশুর চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। স্থানীয়দের উপস্থিতি ও শোরগোলে ভয় পেয়ে অজগরটি গাছের ডালে উঠে যায়। খবরটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ অজগর সাপটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায়।
‎গ্রামবাসী জানান, এ অঞ্চলে আগে কখনো অজগর সাপ দেখা যায়নি। আশেপাশে বনজঙ্গলও নেই। তাদের ধারণা, গত কয়েক বছরের কোনো এক বন্যার সময় পাশের ধরলা নদী থেকে সাপটি ভেসে এসে এলাকায় আশ্রয় নিতে পারে।
‎পরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রীন ভিলেজ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মো. হোসেন আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে অজগরটিকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে বন বিভাগের সহযোগিতায় সাপটিকে বস্তায় ভরে বন বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
‎স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমরা অজগর সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের এলাকায় কখনো এমন সাপ দেখা যায়নি। সম্ভবত ধরলা নদী থেকেই এটি এসেছে।’
‎বন বিভাগের সেবাকর্মী আশরাফুল হক জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে কার্যালয়ে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে এটি নিরাপদ বনে অবমুক্ত করা হবে।
‎গ্রীন ভিলেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম. রশিদ আলী জানান, ‘উদ্ধারকৃত অজগরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং আনুমানিক বয়স প্রায় ১০ বছর। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই কুড়িগ্রামে বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও সংরক্ষণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’