/
/
/
ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল, আই.সি.সি.ই.এস
ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল, আই.সি.সি.ই.এস
Byলাল সবুজ প্রকাশ
Published২৭ অক্টোবর, ২০২৫
১০:১০ পূর্বাহ্ণ
516646823_1181868137288453_5875725774706969096_n
লাল সবুজ প্রকাশ
বাংলাদেশের তারুণ্য নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন-ভিত্তিক মিডিয়া প্লাটফর্ম লাল সবুজ প্রকাশ। শিশু-কিশোর-তরুণদের চোখে অধিকার, জলবায়ু, সমতা, ন্যায্যতা ও সত্যের গল্পের খোঁজে গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে চরের কথা তুলে ধরি আমরা। তুলে ধরি তাদের সৃজনশীলতা, ছড়াই সচেতনতার বার্তা।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

Untitled design (4)

আন্তর্জাতিক জলবায়ু কার্যক্রম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি (ICCES)। অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল — “টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যুব সম্পৃক্ততা”।

এই আয়োজন তরুণ শিক্ষার্থী, গবেষক এবং দেশের খ্যাতনামা জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করেছে, যেখানে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, নবগঠিত আই.সি.সি.ই.এস জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ক গবেষণা, নীতি সংলাপ এবং যুব নেতৃত্বাধীন উদ্ভাবনের একটি জ্ঞানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (C3ER)-এর অধ্যাপক এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত। তিনি আই.সি.সি.ই.এস-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং বলেন,

“অভিযোজন, প্রশমন, জলবায়ু অর্থায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর, স্বচ্ছতা ও আনুগত্য এই মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং অজানা ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের সুযোগ বাড়ানো যায়।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন —

এ. কে. এম. সোহেল, ইউএন উইং চিফ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়;

ড. আনোয়ার জাহিদ, সিনিয়র গবেষক, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (IWM);

ড. হাসিব মোঃ ইরফানুল্লাহ, গবেষক – পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন;

ইঞ্জি. শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, চেয়ারম্যান, ICCES; এবং

রাতুল দেব, নির্বাহী পরিচালক, জেনল্যাব ও UNLEASH Sustainability Award প্রাপ্ত জলবায়ু উদ্যোক্তা।

 

আলোচনায় বক্তারা তরুণদের সবুজ দক্ষতা (Green Skills) অর্জন, উদ্যোক্তা তৈরি, গবেষণা ও অ্যাডভোকেসির সমন্বয়, এবং জলবায়ু অর্থায়ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে পানির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং অতিব্যবহার সীমিত করার এখনই সঠিক সময়। তারা আরও উল্লেখ করেন, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বিশেষ বাজার গড়ে তোলা প্রয়োজন, যেখানে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসির মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও দীর্ঘমেয়াদে টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে পারে। বক্তারা আরও বলেন, তরুণ সমাজের জলবায়ু অর্থায়ন সম্পর্কে জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি, জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে টেকসই উদ্যোক্তা তৈরি ও  যুবসমাজের সবুজ দক্ষতা বিকাশ সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করা হয়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক বার্তায় গুরুত্ব দেওয়া হয় এই প্রতিশ্রুতিতে যে, টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যুবশক্তির নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করতে হবে, যাতে জলবায়ু সংকটকে টেকসই উন্নয়নের সুযোগে রূপান্তর করা যায়। অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজকরা জানান তরুণদের সক্রিয় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ICCES এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চায়, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন অভিশাপ নয়, বরং হবে আশীর্বাদ।