

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অধিকতর কার্যকর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর চূড়ান্ত গেজেট জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল রবিবার (৯ নভেম্বর) এই গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ। এতে বলা হয়েছে, নতুন খসড়া অধ্যাদেশটি বিদ্যমান ২০০৯ সালের আইন প্রতিস্থাপন করবে। কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন সংস্থা হবে। তা সরকারের কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীন হবে না।
এতে আরো বলা হয়, সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেন।‘ এতে সর্বমোট ৪টি অধ্যায় রয়েছে যা ‘প্রারম্ভিক, মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা, অভিযোগ, তদন্ত ও প্রতিকার, অভিযোগ, কমিশনের কর্মকর্তা, তদন্ত দল, তহবিল গঠন ইত্যাদি’ নামকরণ করা হরকাশ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ রাষ্ট্রীয় বা সরকারি প্রতিষ্ঠান, শৃঙ্খলা বাহিনী বা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সরাসরি তদন্তের ক্ষমতা; যে-কোনো সময়, যে-কোনো স্থান পরিদর্শনের এখতিয়ার; কমিশনের আদেশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতা এবং ব্যত্যয়ের ক্ষেত্রে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান; ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অনুকূলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা ক্ষেত্রমত জরিমানা ধার্য ও আদায়ের বিধানসহ বেশ কিছু বিধান রাখা হয়েছে।