/
/
/
নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় একসঙ্গে কাজ করবে ফিফা ও বাফুফে
নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় একসঙ্গে কাজ করবে ফিফা ও বাফুফে
Byশরিফুর রহমান
Published১২ নভেম্বর, ২০২৫
১:১১ অপরাহ্ণ
WhatsApp Image 2025-09-04 at 11.09.11 AM
শরিফুর রহমান
শরিফুর রহমান, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি লাল সবুজ প্রকাশে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। সৃজনশীল নকশার মাধ্যমে সামাজিক উদ্যোগকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলাই তার মূল লক্ষ্য। সামনে সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

fifa and bff

বাংলাদেশে নারী ফুটবলের বিকাশকে আরও গতিশীল করতে একসঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। নারী খেলোয়াড়দের ক্ষমতায়ন ও অংশগ্রহণ বাড়াতে ফিফার নতুন প্রকল্প ‘এমপাওয়ার হার (Empower Her)’ এর অংশ হবে বাংলাদেশও।

ফিফার এশিয়া অঞ্চলের নারী ফুটবল উন্নয়ন বিভাগের প্রধান সাইমন এন্থনি সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, “নারী ফুটবল এখন আর কেবল মাঠের খেলা নয়, এটি বিশ্বব্যাপী এক সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক। আমাদের লক্ষ্য ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৬ কোটি নারীকে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত করা।”

তিনি জানান, বর্তমানে নারী কোচের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে খুবই কম বিশ্বব্যাপী নারী ও পুরুষ লিগ মিলিয়ে মাত্র ২২ শতাংশ। এই হার বাড়াতে ফিফা টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দেবে। পাশাপাশি নারী কোচদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা হবে।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রশংসা করে সাইমন এন্থনি বলেন, “বাংলাদেশ নারী ফুটবলে অনেক দূর এগিয়েছে। এখানকার মেয়েরা প্রতিভাবান, শুধু দরকার সুযোগ ও নিয়মিত লিগ আয়োজনের।”

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, “ফিফার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। আমাদের লক্ষ্য মেয়েদের ঘরোয়া লিগ নিয়মিত করা, ক্লাব সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধা আরও উন্নত করা।”

তিনি আরও জানান, বাফুফে শুধু মাঠের উন্নয়ন নয়, খেলোয়াড়দের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করবে। নারী খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং বা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে, প্রয়োজনে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

ফিফা ও বাফুফের এই যৌথ উদ্যোগ নারী ফুটবলের মানোন্নয়নের পাশাপাশি নারীদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।