

ব্রাজিলের বেলেমে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে যখন বিশ্বনেতারা আলোচনায় ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় সাতক্ষীরার উপকূলীয় ইউনিয়ন গাবুরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তরুণেরা অংশ নেন গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক ২০২৫’এ।
গতকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইয়ুথনেট গ্লোবালের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত রূপান্তরের দাবি তোলেন অংশগ্রহণকারীরা।
স্ট্রাইকে থাকা তরুণেরা বলেন, জলবায়ু–ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সুরক্ষায় ‘জাস্ট ট্রানজিশন’ জরুরি। এই রূপান্তর যেন শুধু সবুজ নয়, শ্রমিক–বান্ধব, লিঙ্গ–সমতাভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়—এ দাবি জানান তাঁরা।
এ সময় ব্যানারে লেখা ছিল—‘ভুয়া বা ফসিল জ্বালানিনির্ভর সমাধান নয়—আমাদের চাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি’, ‘জলবায়ু ন্যায়বিচারের মানে শ্রমিক ন্যায়বিচার’।
উপকূলকে দুর্যোগ–ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার দাবি
ইয়ুথনেট গ্লোবালের খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী এস. এম. শাহিন সিরাজ বলেন,
“উপকূলকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্যোগ–ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করতে হবে। মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক নেতাদের জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।”
‘মানুষকে অগ্রাধিকার দিন, মুনাফাকে নয়’
কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা সংগঠনের জেলা সমন্বয়কারী ইমাম হোসেন বলেন,“জলবায়ু সংকটে যাঁদের অবদান সবচেয়ে কম, তাঁদের যেন সবচেয়ে বড় মূল্য না দিতে হয়। জলবায়ু পদক্ষেপে মানুষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, মুনাফাকে নয়। জাস্ট ট্রানজিশন শুধু জ্বালানি বদল নয়—এটি মর্যাদা, সমতা ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তার প্রশ্ন।”
স্থানীয় তরুণেরা বলেন, নদীভাঙন, লবণাক্ততা, নিরাপদ পানির সংকট ও ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, জাস্ট ট্রানজিশনে কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না—জলবায়ু ন্যায়বিচার মানে অর্থনৈতিক, শ্রমিক ও লিঙ্গ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। COP30–এ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, শ্রমিক ও তরুণদের দাবিগুলোসহ মানবাধিকার ও আন্তঃপ্রজন্মগত ন্যায়বিচার রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।