Sunday, December 22, 2024
Homeজলবায়ুশুধু অস্ট্রেলিয়ায় দেখা মিলবে যাদের

শুধু অস্ট্রেলিয়ায় দেখা মিলবে যাদের

অনন্য ও বিচিত্র পশুপাখির আবাসস্থল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া একই সঙ্গে একটি দেশ ও মহাদেশ। এখানে ৮০ শতাংশের বেশি অনন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাস, যা বিশ্বের আর কোথাও নেই। অস্ট্রেলিয়ার ভূমির গঠন, জলবায়ু ও পরিবেশের জন্য এই দেশেই শুধু প্রাগুলো বাস করে। আজ এমন ১০টি প্রাণীর কথা বলব।
ক্যাঙারু- যখন আমরা অস্ট্রেলিয়ার বন্য প্রাণীর কথা শুনি, তখন আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে ক্যাঙারুর নাম। ক্যাঙারু অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রাণী। অস্ট্রেলিয়ার ঝোপঝাড় ও ঘাসযুক্ত এলাকা, উপকূলরেখার সমুদ্রসৈকতে বা জনবিরল সমভূমির লাল বালুতে লাফিয়ে বেড়াতে দেখা যায় ক্যাঙারুদের।

ইমু- অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম পাখি ইমু। এটি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পাখি। এরা উড়তে পর না। এদের উচ্চতা প্রায় দুই মিটার। উটপাখির পর ইমুই সবচেয়ে লম্বা পাখি। অস্ট্রেলিয়ার স্কেরোফিল বন ও সাভানা বনভূমিতে এদের দেখতে পাওয়া যায়।

ক্যাসোওয়ারি- ডাইনোসর থেকে আসা ক্যাসোওয়ারি ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পাখি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। পাখি িশালী পা ও পায়ের শক্ত লাথির জন্য বিখ্যাত। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচতে আত্মরক্ষা বা পালানোর জন্য শক্তিশালী পা ব্যবহার করে এই পাখি। এরা উড়তে পারে না, তবে বেশ উঁচুতে লাফ দিতে পারে এবং দ্রুত দৌড়াতে পারে ক্যাসোওয়ারি।

কোয়ালা- কোয়ালা অস্ট্রেলিয়ার শান্তি ও সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে পৃথিবীজুড়ে পরিচিত। গাছে বসবাসকারী এই স্তন্যপায়ী দিনে টানা ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমায় এবং পুষ্টির জন্য ইউক্যালিপটাসগাছের পাতার ওপর নির্ভর করে। একটি মা কোয়ালা তার বাচ্চাকে জন্ম দেওয়ার পর ছয় মাস নিজের থলিতে রাখে। কোয়ালাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো াষের জন্য ঘাসের বন বা ভূমি পরিষ্কার করা এবং বুশফায়ার। ঘাসে আগুন লাগিয়ে জমি পরিষ্কার করলে কোয়ালার বসবাসের জায়গা ধ্বংস হয়।
ওমব্যাট- কোয়ালার সবচেয়ে কাছের আত্মীয় হলো ওমব্যাট। অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় এদের। এই বলিষ্ঠ চারপেয়ে প্রাণীর শক্ত নখর গর্ত খুঁড়তে সাহায্য করে।
প্লাটিপাস- প্লাটিপাসকে কখনো কখনো হাঁসের ঠোঁটযুক্ত প্লাটিপাস নামেও ডাকা হয়। প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর ধরে পৃথিবীত এর অস্তিত্ব রয়ছে। হাঁসের ঠোঁটের মতো ঠোঁট, বিবরের লেজের মতো লেজ এবং ভোঁদড়ের পায়ের মতো পা থাকায় প্লাটিপাস সবাইকে বিস্মিত করে।
একিডনা- একিডনা উইপোকা ধরার জন্য তাদের লম্বা আঠালো জিহ্বা ব্যবহার করে। এরা ভয় পেলে মাটিতে গর্ত করে বলের মতো নিজেদের গুটিয়ে ফেলে। এতে বাহির থেকে শুধু তাদের ধারালো মেরুদণ্ড দেখা যায়। এই দাঁতহীন প্রাণী শান্ত জীবন পছন্দ করে। ক্যাঙারু দ্বীপ ও তাসমানিয়ায় এদের বেশি দো যায়।
তাসমানিয়ন ডেভিল- তাসমানিয়ান ডেভিলদের দেখতে পাওয়ার সেরা জায়গা তাসমানিয়ার চারপাশে গাড়ি চালানোর সময়। পশমের জন্য এদের শিকার করা হয়। শিকারের ফলে এখন এদের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে। তাসমানিয়ান ডেভিলরা হিংস্র স্বভাব, গর্জন ও শক্তিশালী কামড়ের জন্য পরিচিত।
কোওক্কা- কোওক্কার কর িের সমান। এদের পুরোনো েনাল কলোনিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। দেখা যায়, হয় এরা পাতা ঠোকরাচ্ছে, েছনের পায়ে ভর দিয়ে ভারসাম্য ধে রাখছে বা মনোযোগ দিয়ে সামনের দৃশ্য দেখছে। কোওক্কারা বন্ধুসুলভ হয়ে থাকে। এদের দেখে মনে হয় যে এরা সারাক্ষণই হাসছে।
সুগার গ্লাইডার- সুগার গ্লাইডার অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও শীতল বনের বাসিন্দা। এরা গাছে বসবাস করে। সুগার স্লাইডারদের বৈশিষ্ট্য হলো, এদের হাতের কবজি থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত বিস্তৃত নরম চামড়া ঝুলে থাকে, যার নাম প্যাটাজিয়াম। এক গাছ থেকে অ্য গাছে যেতে প্যারাসুটের মতো সহায্য করে প্যাটাজিয়াম

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments