নদী- একটি ছোট্ট নাম অথচ এর মধ্যে লুকিয়ে আছে কত গভীরতা যা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে মানুষের জীবনে। মানুষের সাথে এই নদ-নদীর কতো সখ্যতা আবার কখনো কখনো বৈরিতাও দেখা যায়। নদ-নদীর এই প্রবহমান ধারা মানুষের গতিশীল জীবনের সাথে বিভিন্ন ষেত্রে সাদৃশ্যপূর্ণ।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হওয়া এই নদী ভাঙনের মাঝে যে গল্প লুকিয়ে রয়েছে, তা সবাইকে জানা দরকার।
নদীভাঙন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দুর্যোগ যার কারণ নদীর গতিপ্রকৃতির দ্রুত পরিবর্তন। প্রতিবছর প্রায় ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ হেক্টর জমি নদীভাঙনে হারিয়ে যায়। এই ভাঙনের ফলে প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীভাঙনের ফলে এদেশে প্রতিবছর ২৫ কোটি ডলার কষি হয়।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৪০টি উপজেলার মধ্য দিয়ে বহমান ১৩টি নদ-নদী। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৪০ উপজেলার বিভিন্ন নদীর ১৫৮টি স্থান ভাঙন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গন নিয়ে কথা বলেছি, বরিশালে নদীর পার্শ্ববর্ত এা ায়া ইউনিয়নের মানুষদের সাথে। তাদের ভাষ্যমতে রাতে ঘুমানোর সময় ভয়ে থাকতে হয়। কখন যেন নিয়ে যায় তাদের খাদ্যের উতস দেওয়া ফসলের মাঠ। নিয়ে যায় াসস্থান তাদের থাকে কিনা প্রাণ, এই ভয়ে এবং আতঙ্কে প্রতি রাত পার হয় তাদের। এর আগেও নদী ভাঙ্গনে হারিয়েছে তাদের ফসলের মাঠ নিজেদের বাসস্থান, হুমকির মুখে পড়েছিল নিজেদের প্রাণ।
নদী ভাঙ্গন নিয়ে কথা বলেছি হিজলা উপজেলা সদরের বাউশিয়া গ্রামের মানুষদের সাথে। তারা বলছিলেন পাউবো জিওব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তা কোনো কাজে আসছে না। যখন ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায় তখন এ জিওব্যাগও চলে ায়। এখন সথায়ী সমাধান দরকার। ব্লক ফেলা না হলে মেঘনার ভাঙন রোধ সম্ভব নয়।’ নদী আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টাকে অনেক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে, কিন্তু কখন জানি সেই নদী আমাদের জীবন হুমকির মুখে নিয়ে যায়।
১৫৮টি পয়েন্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বরিশালের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা। বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় ১০টি বাঁধ দুর্বল। আর পিরোজপুরে ১২টি, ঝালকাঠিতে ১০টি, পটুয়াখালীতে ৫৭টি, বরগুা ২৬টি এবং ভোলায় ৪৩টি বাঁধ। নদী আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টাকে অনেক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে, কিন্তু কখন জানি সেই নদী আমাদের জীবন হুমকির মুখে নিয়ে যায়। বরিশালের বিভিন্ন নদী ভাঙ্গন স্থানে ব্লক ফেলা হচ্ছে কিন্তু এর সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে , তবেই নদী ভাঙ্গন আটকানো সম্ভব।