/
/
/
বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সম্পত্তি লিখে নিলেন দুই ছেলে
বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সম্পত্তি লিখে নিলেন দুই ছেলে
Byলাল সবুজ প্রকাশ
Published২ জুলাই, ২০২৫
৫:৩০ অপরাহ্ণ
516646823_1181868137288453_5875725774706969096_n
লাল সবুজ প্রকাশ
বাংলাদেশের তারুণ্য নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন-ভিত্তিক মিডিয়া প্লাটফর্ম লাল সবুজ প্রকাশ। শিশু-কিশোর-তরুণদের চোখে অধিকার, জলবায়ু, সমতা, ন্যায্যতা ও সত্যের গল্পের খোঁজে গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে চরের কথা তুলে ধরি আমরা। তুলে ধরি তাদের সৃজনশীলতা, ছড়াই সচেতনতার বার্তা।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

siraj-20250702215829

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মা-বাবাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে পাঁচ বিঘা সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে। উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দুই সন্তানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বাবা-মা।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত ছেলেরা হলেন মোক্তার হোসেন (৩৫) ও মানিক হোসেন (২৮)।

অভিযোগপত্রে বাবা সানোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, আমি ও আমার স্ত্রী বর্তমানে চরম অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার। আমার দুই ছেলে মোক্তার হোসেন ও মালিক হোসেন কৌশলে আমাদের সম্পত্তি তাদের নামে লিখে নিয়েছে। বর্তমানে আমাদের কোনো প্রকার ভরণপোষণ করছে না। আমরা বর্তমানে যে পুরোনো ঘরে বসবাস করছি, সেখান থেকে বের হওয়ার রাস্তাও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বৈদ্যুতিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন করেছে তারা। ফলে আমরা শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে চরম দুর্ভোগে আছি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এই পরিস্থিতিতে স্ত্রীসহ নিজের ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও ভরণপোষণের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সানোয়ার হোসেন।

সানোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তার দুই সন্তান প্রায় তিন বছর আগে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে তাড়াশ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখার পর তারা কয়েকটি স্ট্যাম্পে টিপ সই নেন। পরে জানতে পারেন তার তিন বিঘা ফসলি জমি ও দুই বিঘা পুকুর দলিল করে নিয়েছেন ওই দুই সন্তান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিব সরকার রাজু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই দুই ছেলে যৌথভাবে কৌশলে বাবা-মায়ের প্রায় পাঁচ বিঘা সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। এটা নিয়ে গ্রাম্য সালিশও হয়েছিল। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযুক্ত ছেলে মোক্তার ও মানিক হোসেন মা-বাবাকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, তারা নিজ ইচ্ছায় আমাদের নামে সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন।