

টানা দ্বিতীয় বারের মত ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত’ প্রতিপাদ্যে এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদারের নেতৃত্বে চারজনের নারী অভিযাত্রী দল হিমালয়ের পথে রওনা হয়েছে।
‘নারীদের শীতকালীন অভিযান ২০২৫’ শিরোনামের এবারের অভিযানটি ঘটবে নেপালের অন্নপূর্ণা রেঞ্জে।
গত ২৬ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অভিযানের আয়োজকরা একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলনেতা নিশাত মজুমদারের হাতে পতাকা অপর্ণ করেন। নিশাত মজুমদারের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন, মাস্টারকার্ডের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের হেড অফ কালচার কিজি তাহনিন। এবং উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকসহ প্রতিনিধিরা।
এ অভিযানে নিশাত মজুমদারের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেছেন পর্বতারোহী ইয়াছমিন লিসা, তহুরা সুলতানা রেখা ও ট্রেক উইথ নিশাত-২০২৫ বিজয়ী নুসরাত জাহান ফাবিহা। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী সৃষ্টি ‘সুলতানার স্বপ্ন’ এই অভিযানের অনুপ্রেরণা।
অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ডের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “এমন উদ্যোগে মাস্টারকার্ড অংশ হতে পেরে গর্বিত। এই আয়োজনের শুরু হয়েছিল গতবছর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। আশা রাখি এর ধারাবাহিকতা চলবে, মাস্টারকার্ড সবসময় পাশে আছে।”
ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের হেড অব কালচার কিজি তাহনিন বলেন, ‘এই মহতী উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে ইউনেস্কো আনন্দিত। এ ধরনের উদ্যোগে আরও থাকতে চায় ইউনেস্কো।’
গতবছরের ন্যায় এই অভিযানের পৃষ্ঠপোষকতা করছে আন্তর্জাতিক পেমেন্টস টেকনোলজি ব্র্যান্ড মাস্টারকার্ড। এবং অন্য সহযোগী হিসেবে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
অভিযানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার নানা ঘটনার মাঝে এটি একটি ইতিবাচক ঘটনা। শত বছর আগে রচিত একটি সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু হওয়া এই অভিযান বাংলাদেশের নারী, পুরুষ ও সমাজের মানুষকে চিন্তার খোরাক জোগাবে।’
প্রথম নারী বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য বাংলাদেশের নারীদের দৃঢ়তা, কল্পনাশক্তি ও সাহসিকতা উদযাপন করা।’
তিনি আরো বলেন, রোকেয়া প্রস্থানের একশো বছর পর বাংলার নারী আজ জেগেছে। সমাজের সর্বত্র নারী তার সাফল্যের চিহ্ন রেখে যাচ্ছে। পেশায় নেশায় স্বপ্নে নারী বহুদুর গিয়েছে। হয়তো এরই ধারাবাহিকতায় নারী আজ দুর্গম পাহাড়ে চড়ছে।’
বাংলার প্রতিটি নারী হয়ে উঠবে একজন সুলতানা, সেই আকাঙ্খায় আমাদের এই অভিযাত্রা ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত’, বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
পর্বতারোহীদের দল ‘অভিযাত্রী’ গত বছরও নারীদের শীতকালীন অভিযানের আয়োজন করেছিল। এবার অভিযাত্রীদের লক্ষ্য ৬ হাজার মিটার উচ্চতার পিসাং পিক ও ৫ হাজার মিটার উচ্চতার রাক্সিং পিক। দলটি গত ২৮ নভেম্বর নেপালে পৌঁছেছে।