

কুড়িগ্রামে হিমেল হাওয়া ও প্রবল বাতাসে চরের খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় সকাল থেকেই জেলায় স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব পড়ছে।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার আমির হামজা জানান, ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে সকালে এত ঠান্ডা তা ভাবতেও পারিনাই, শীতের এই কাপড়ে কোনোভাবেই ঠান্ডা কমানো যাচ্ছে না। সামনের দিনে যে কি অপেক্ষা করছে আল্লাহই ভালো জানেন।‘
রাজারহাট উপজেলার মাসুম বলেন, দুইদিনের জন্য বাসায় ঘুরতে এসে এত শীতের কবলে করব তা জানলে বাসায়ই আসতাম না। এদিকের মানুষের প্রতি মৌসুমেই এই হাল হয়। সঠিকভাবে সহায়তাও পায়না।
শীতের এই দুর্ভোগ মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে বলেন, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ৬ লাখ করে মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম্বল ক্রয়ের কাজ চলছে, এবং তালিকা অনুযায়ী শীতার্ত মানুষের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।