/
/
কুড়িগ্রামে কান্নার শব্দে নবজাতক কন্যা শিশু উদ্ধার
কুড়িগ্রামে কান্নার শব্দে নবজাতক কন্যা শিশু উদ্ধার
Byলাল সবুজ প্রকাশ
Published৫ জুলাই, ২০২৫
৩:৫৪ অপরাহ্ণ
516646823_1181868137288453_5875725774706969096_n
লাল সবুজ প্রকাশ
বাংলাদেশের তারুণ্য নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন-ভিত্তিক মিডিয়া প্লাটফর্ম লাল সবুজ প্রকাশ। শিশু-কিশোর-তরুণদের চোখে অধিকার, জলবায়ু, সমতা, ন্যায্যতা ও সত্যের গল্পের খোঁজে গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে চরের কথা তুলে ধরি আমরা। তুলে ধরি তাদের সৃজনশীলতা, ছড়াই সচেতনতার বার্তা।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

কুড়িগ্রামে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কান্নার শব্দ শুনে বাড়ির পাশ থেকে একটি নবজাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করেছেন এক গৃহবধূ।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে উপজেলার দেওয়ানের খামার গ্রামের বাংলালিংক টাওয়ার সংলগ্ন মিলনের বাড়ির পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকারী গৃহবধূ আসমাউল হোসনা জানান, সকালবেলা হঠাৎ করে বাড়ির ওয়াশরুমের পাশ থেকে একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। কাছে গিয়ে দেখি, ফুটফুটে একটি নবজাতক কন্যা শিশু মাটিতে শুয়ে আছে। সাথে সাথে স্বামী মিলনকে ডেকে আনি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করি। অনেক চেষ্টা করেও শিশুটির কোনো অভিভাবককে খুঁজে না পেয়ে থানায় নিয়ে যাই। পরে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বর্তমানে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে শিশুটি সুস্থভাবে রয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে আনুমানিক পাঁচ দিন বয়সী কন্যা শিশুটিকে থানা থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির স্বাস্থ্য ভালো এবং সে পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে।

এদিকে, শিশুটিকে উদ্ধারকারী দম্পতি আসমাউল হোসনা ও তার স্বামী মিলন জানান, তাদের কোনো সন্তান নেই। শিশুটিকে পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দত্তক নিতে চেয়ে অর্থের প্রস্তাবও দিয়েছেন—একজন এক লাখ টাকা, অপরজন পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো প্রলোভনে প্রভাবিত হননি। শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক না পাওয়া গেলে তারা আইনি প্রক্রিয়ায় দত্তক নিতে চান।

ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ নবজাতক উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের পর থানায় এনে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আলোচনা চলছে।

এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা শিশুটির নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।