

হামিন আহমেদ। তারকা কণ্ঠশিল্পী, সংগীতায়োজক ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড মাইলসের অন্যতম সদস্য। সম্প্রতি রুটনোট প্রোডাকশনসের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গাওয়া ভিন্ন ধাঁচের গান ‘খুঁজি তোমায়’। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ
হঠাৎ করে ওয়ারফেজ ব্যান্ডের শিল্পী পলাশ নূরের সঙ্গে গাওয়া, নাকি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল? কিছু পরিকল্পনা হঠাৎ করেই মাথায় আসে। আমরা গানের মানুষেরা যখন আড্ডায় বসি, গান নিয়ে আলোচনা করি, তখন আপনা-আপনি নতুন কিছু করার পরিকল্পনা চলে আসে। ‘খুঁজি তোমায়’ গানের বেলাতেও সেটাই হয়েছে। এই গানের সুর করার পরই পলাশ নূর আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল গিটার বাজানোর পাশাপাশি গানটি গাওয়ার। গান শুনে আমারও ভালো লেগেছিল। অন্যদিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রুটনোট প্রোডাকশনসের ইমরানও চাইছিল, সময়ের আলোচিত কয়েকজন মিউজিশিয়ানের সম্মিলিত একটি আয়োজন তুলে ধরার। এরপর মাইলসের ড্রামার তুর্যকে সঙ্গে নিয়ে গানটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া।
পলাশ নূর আপনার পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পী। তাঁর কথা, সুর, সংগীত নির্দেশনায় গান গাওয়ার বিষয়টি শ্রোতা কীভাবে গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে ভেবেছিলেন কি? যখন ভালো কিছু হয়, তখন তার স্রষ্টা নবীন নাকি অনেক অভিজ্ঞ– সেই প্রশ্ন অবান্তর হয়ে যায়। ওয়ারফেজ ব্যান্ডের শিল্পী হিসেবে যোগ দেওয়ার অনেক আগেই পলাশ নিজস্ব এক পরিচিতি গড়ে তুলেছিল। বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবাম তৈরি করেছিল সে, যেখানে তার সুরে গান গেয়েছিলেন দেশের তারকা শিল্পীরা। তারও আগে পলাশ আমার মনোযোগ কেড়েছিল ‘ডি-রকস্টার’ সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে। সেই আসরে পলাশের ব্যান্ড রেডিও অ্যাকটিভ রানারআপ হয়েছিল। প্রতিযোগিতার নেপথ্যের একজন ছিলাম আমি; যার সুবাদে আমার কাছে পলাশের প্রতিভা আলাদাভাবে ধরা দিয়েছিল। পরে গ্রামীণ ফোনের ডি’জুসের প্রচারণায় পলাশ মাইলস সদস্যদের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছিল। এভাবেই পরিচয় গাঢ় হয়েছে। ওয়ারফেজ ব্যান্ডে দেওয়ার পর তো প্রতিনিয়তই মুগ্ধ হচ্ছি ওর পারফরম্যান্সে। তাই অনুজ এই সংগীতযোদ্ধার সঙ্গে কাজের প্রস্তাবে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। বরং ওকে সঙ্গী করে আনকোড়া কিছু করার সুযোগ পাচ্ছি– এটাই ভালো লাগার।