/
/
স্বাস্থ্যঝুকির নতুন নাম স্ক্যাবিস
স্বাস্থ্যঝুকির নতুন নাম স্ক্যাবিস
Byতারান্নুম মারিয়া রিদিতা
Published১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২:২৫ অপরাহ্ণ
WhatsApp Image 2025-08-20 at 2.09.10 PM
তারান্নুম মারিয়া রিদিতা
তারান্নুম মারিয়া রিদিতা সাউথ এপোলো মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং লাল সবুজ প্রকাশের ফিচার লেখক। তিনি লেখালেখির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন। তার লক্ষ্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্কতা বৃদ্ধি করা।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

ওয়েবসাইট ছবি (3)
ত্বকে চুলকানিতে কখনো ভোগেননি এমন মানুষ বোধহয় পাওয়া যাবেনা। ত্বকে চুলকানি যে সবসময় একই কারণে হয় তেমনটা কিন্তু না, এলার্জি, অপরিষ্কার দেহ, ময়লা পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন চর্মরোগের কারণেও ত্বকে চুলকানি হতে পারে। তেমনই একটি চর্মরোগ হলো স্ক্যাবিস।
স্ক্যাবিস একটি চর্মরোগ, যার অন্যতম লক্ষণ সারা শরীর চুলকানো। স্ক্যাবিস রোগের বাহক অতিক্ষুদ্র পরজীবি সারকোপ্টেস স্ক্যাবি (Sarcoptes scabiei)। এই পরজীবি সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমে, আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানার চাদর বা তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমে ছড়ায়। এর ফলে ত্বকে তীব্র চুলকানি হয় এবং ত্বকে ছোট ছোট লাল দানা বা ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়।
চুলকানি ও দানাগুলো শরীরের কিছু বিশেষ অংশে, যেমন আঙুলের ফাঁক, কনুই, কোমর, নাভির পাশে, কুঁচকিতে, যৌনাঙ্গে, নারীদের স্তনের নিচে বেশি হয়।
স্ক্যাবিস হলে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ আবশ্যক। স্ক্যাবিসের চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করার জন্য মলম, ক্রিম এবং লোশন দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ওরাল রুটে ব্যবহারের ওষুধও প্রেসক্রাইব করেন। সাধারণত স্ক্যাবিসের চিকিৎসায় পারমেথ্রিন ক্রিম, Ivermectin, ক্রোটামিটন লোশন ইত্যাদী ব্যবহার করা হয়। তবে কোনভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি বহুল প্রচলিত কথা আছে যে “Prevention is better than cure”, তাই আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কি কি উপায়ে আমরা স্ক্যাবিস প্রতিরোধ করতে পারি। স্ক্যাবিস প্রতিরোধে প্রতিরোধের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। সারকোপ্টেস স্ক্যাবি পরজীবি যেসব জায়গায় থাকতে পারে যেমন কাপড়চোপড়, বিছানার চাদর, বালিশ ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র গরম পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কেই স্ক্যাবিস আক্রান্ত হলে তার পোশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করে রোদে শুকাতে হবে অথবা ইস্ত্রি করে নিতে হবে। স্ক্যাবিসের পরজীবি মানুষের ত্বক থেকে দুই থেকে তিন দিনের বেশি দূরে থাকতে পারে না তাই আসবাবপত্রের মতো আইটেমগুলি যা ধোয়া বা শুকানো যায় না সেগুলিকে কমপক্ষে 72 ঘন্টা মানুষের থেকে দূরে রাখা যেতে পারে।
সর্বোপরি স্ক্যাবিস কোন হেলাফেলার জিনিস নয়। সারা শরীরে বা ত্বকের নির্দিষ্ট স্থানে অত্যধিক চুলকানি দেখা দিলে বা ছোট ছোট লাল ফুসকুড়ি দেখলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুক, রোগ বালাই থেকে বেচে থাকতে তাদের প্রতিরোধের কার্যপ্রণালী মেনে চলুন।