/
/
/
কপ-৩০ সম্মেলনে ন্যায্য ও টেকসই অর্থায়নের আহ্বান যুবসমাজের
কপ-৩০ সম্মেলনে ন্যায্য ও টেকসই অর্থায়নের আহ্বান যুবসমাজের
Byলাল সবুজ প্রকাশ
Published৯ নভেম্বর, ২০২৫
১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
516646823_1181868137288453_5875725774706969096_n
লাল সবুজ প্রকাশ
বাংলাদেশের তারুণ্য নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন-ভিত্তিক মিডিয়া প্লাটফর্ম লাল সবুজ প্রকাশ। শিশু-কিশোর-তরুণদের চোখে অধিকার, জলবায়ু, সমতা, ন্যায্যতা ও সত্যের গল্পের খোঁজে গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে চরের কথা তুলে ধরি আমরা। তুলে ধরি তাদের সৃজনশীলতা, ছড়াই সচেতনতার বার্তা।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

cop30 funding1

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে এক কর্মসূচি আয়োজন করেছে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

গত শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিটি পালিত হয় ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাউ: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ-৩০’ শিরোনামে। কর্মসূচিটি ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন এর সাথে আয়োজন করে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল বিভিন্ন যুব ও কমিউনিটি সংগঠন, প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।

ক্যাম্পেইনে ছিল জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনা, যেখানে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে টেকসই অর্থায়ন, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা বিশেষভাবে তথ্য দিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১% অর্থায়ন পাচ্ছে। তারা বলেন, ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।

পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড একশন নেটওয়ার্ক এর প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক বলেন,”জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়-এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সংকট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”

আয়োজকরা বলেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা।

অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।