/
/
/
ঢাকায় সন্তান জন্ম দেওয়া মা-বাবা সবচেয়ে বড় অসহায়, শাহনাজ খুশি
ঢাকায় সন্তান জন্ম দেওয়া মা-বাবা সবচেয়ে বড় অসহায়, শাহনাজ খুশি
Byলাল সবুজ প্রকাশ
Published২৩ জুলাই, ২০২৫
১:০২ অপরাহ্ণ
516646823_1181868137288453_5875725774706969096_n
লাল সবুজ প্রকাশ
বাংলাদেশের তারুণ্য নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন-ভিত্তিক মিডিয়া প্লাটফর্ম লাল সবুজ প্রকাশ। শিশু-কিশোর-তরুণদের চোখে অধিকার, জলবায়ু, সমতা, ন্যায্যতা ও সত্যের গল্পের খোঁজে গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে চরের কথা তুলে ধরি আমরা। তুলে ধরি তাদের সৃজনশীলতা, ছড়াই সচেতনতার বার্তা।

কনটেন্টটি শেয়ার করো

Copied!

সর্বশেষ

Untitled design (14)

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় স্তব্ধ দেশবাসী। আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক। অভিনেত্রী শাহনাজ খুশিকেও ছুঁয়ে গেছে শোক। সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজের অনুভূতি।

নিজের ফেসবুকে শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘আমার ধারণা, কোনো মানুষ কাল রাতে ঘুমাতে পারে নাই। সব মা-বাবা এবং অনুভূতি সম্পন্ন মানুষ অসহায়ভাবে জেগে ছিল। সবার গলার কাছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কালো ধোঁয়া দলা পাকিয়ে আছে, সেটা না পারা যায় গিলতে, না পারা যায় সহ্য করতে!’

শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘ঢাকা শহরে সন্তান জন্ম দেওয়া মা-বাবা সবচেয়ে বড় অসহায়। কেউ কল্পনাও করতে পারে না সেই মা-বাবার সার্বক্ষণিক যুদ্ধ। এছাড়াও যে মা-বাবার অর্থনৈতিক হিসাব কষে চলতে হয়, রিকশা/সিএনজি/ বাসে চড়তে হয়, তাদের জীবন আরও দ্বিগুণ কঠিন।’

খুশির ভাষ্য, ‘বাচ্চার জন্মের পর থেকেই ভাবতে হয়, কোন স্কুলে পড়াতে পারবো, কীভাবে ভর্তি করবো, বাসা সেখান থেকে কতটা দুরে, যাওয়া আসা কিভাবে হবে, উপার্জনের সাথে মিলবে কিনা সব ইত্যাদি বিশদভাবে। ভর্তি করতে পারলে এক রকম, না পারলে অন‍্য রকম কষ্ট। স্কুল, কোচিং বিজনেস, সামাজিকতা, ঘরকন্না সব মিলিয়ে জীবনের সব দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। সন্তানের প্রয়োজনে তখন হয় মা বাবার সুর্যোদয়-সুর্যাস্ত। পিতামাতা হবার অপার স্বপ্নের আনন্দ স্কুল-কলেজ-কোচিং এর টাকা গুনতে গুনতে ঝাপসা হয়ে যায়।’

অভিনেত্রী লেখেন, সব মা-বাবারই যুদ্ধ করতে হয়, কিন্তু ঢাকা শহরের মা বাবার জীবনে সন্তান ছাড়া কোন স্পেস নাই। তাদের নানান দুর্ভাবনার মধ্যে কিছুক্ষণের ভাবনার থেকে মুক্তির জায়গা স্কুল। সেখানে বাচ্চাদের দিয়েই কেউ কাজে যায়, বাজারে যায়, ঘড়ির কাঁটার সাথে দৌড়ে সব দায়িত্ব শেষ করার চেষ্টা করে, অতঃপর আবার দৌড়ে স্কুলে-কোচিংয়ে যায়।

সবশেষে খুশি লিখেছেন, ‘এ বাঁচার মানে কেউ বুঝবে না! কেউ জানে না মা-বাবার সন্তানই কোন পূর্ণতা-কি অপার শূন্যতা! অল্প কিছুদিনে মধ‍্যে বরাবরের মতোই সবাই সব ভুলে যাবে, স্বাভাবিকভাবেই চলবে সব। শুধু মা বাবার বুকেই জ্বলবে এ আগুন আমৃত্যু-মাইলস্টোন স্কুলের ধোঁয়া তাদের নিঃশ্বাস-চোখ থেকে কোনওদিন সরবে না! আহা রে আমাদের কলিজা ছেঁড়া ধন! হায় রে আমাদের মা-বাবার হবার আজন্ম অসহায়ত্ব!’