

দীর্ঘ আলোচনা, রাজনৈতিক দরকষাকষি ও উত্তাপের পর জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে সরাসরি কোন চুক্তি না করেই শেষ হলো এবারের জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০।
এ মাসে শুরু হওয়া জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে নানা কাঠখড় পুড়িয়ে সবার সম্মতিক্রমে একটি চুক্তি হয় যেখানে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব মোকাবেলায় দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থ সহায়তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার নিয়ে সরাসরি কিছু বলা হয়নি।’ যে চুক্তি হয়েছে সেটিও বাধ্যতামূলক নয় বরং সেটি স্বেচ্ছাভিত্তিক। এখানে চাইলেই কোনো দেশ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে।
এবারের এই কপ৩০ কে বলা হতো বাস্তবায়নের কপ। পুরো আয়োজন জুড়েই আলোচনার মধ্যবিন্দু ছিল জলবায়ু অর্থায়ন এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা নিয়ে। প্রথম সপ্তাহেই অর্থায়নের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত আসলেও, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আশা নিয়ে চলছিলো চরম বিতর্ক।
জীবাশ্ম জ্বালানি ইস্যুতে ৮০ টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল এবারের চুক্তিতে জ্বালানি তেল, কয়লা ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম নিয়ে রূপরেখা চেয়েছিল। ব্রাজিল, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে একটি রোডম্যাপ প্রস্তাবনার কথাও বলেছিল। সেটির সমর্থনও ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের। তবে সেটির চরম বিরোধিতা করে জ্বালানি নির্ভর দেশগুলো।
শেষ সময়ে গত শুক্রবার এ নিয়ে চরম বিতর্কে পৌঁছায় দুপক্ষ। বরাবরের মত কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে বাড়তি সময়ে গড়ায় আলোচনা। এ বর্ধিত সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানি ধীরে ধীরে কমানোর রূপরেখা দেয়া হয়েছিল।
কলম্বিয়া ও লাতিন আমেরিকার প্রতিবেশি দেশের প্রতিনিধিরা বলছেন, “যে ঐক্যমত্য চাপিয়ে দেয়া হয়ে তা আসলে ব্যর্থ। বৈশ্বিক উষ্ণয়নে ফসিল ফুয়েলই সবচেয়ে বড় কারণ।”
আবার রাশিয়ার প্রতিনিধি খোঁচা দিয়ে বলেন, যেসব দেশ আপত্তি তুলছে তাদের ব্যবহার যেন বাচ্চাদের মত সে তাদের হাতেই সব মিষ্টি দেয়া হোক।”
এমন অস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েই শেষ হয় এবারের কপ। পরবর্তী কপ৩১ অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কে যেখানে সরকারিভাবে দায়িত্ব পালন করবে অস্ট্রেলিয়া।